যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। হামলাটি ইরানকে সাময়িকভাবে, সর্বোচ্চ কয়েক মাসের জন্য, পিছিয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মূল্যায়ন প্রস্তুত করেছে পেন্টাগনের আওতাধীন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ধ্বংস করা যায়নি এবং বেশিরভাগ সেন্ট্রিফিউজও অক্ষত রয়েছে। হামলার আগে এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় একটি সূত্র।
আরও জানা যায়, ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতগুলোর বেশিরভাগই মাটির গভীরে সংরক্ষিত, যা বিমান হামলায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যদিও ইরান দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবলমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউস এই গোয়েন্দা মূল্যায়নকে ‘ভুল এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে নাকচ করেছে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে জানান, তথ্যটি একটি ‘গোপন’ গোয়েন্দা দলিল থেকে ফাঁস হয়েছে এবং সেটির উদ্দেশ্য রাজনৈতিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সামরিক বাহিনীকে হেয় করা।
হামলার কার্যকারিতা নিয়ে মত দিয়েছেন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জেফ্রি লুইসও। তিনি উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে বলেছেন, হামলা যতটা শক্তিশালীই হোক, তা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির স্থায়ী ক্ষতি করতে সক্ষম হয়নি।
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করা বি-২ বোমারু বিমানগুলো দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। মাঝপথে বিমানগুলো একাধিকবার জ্বালানি নেয় এবং বিভ্রান্তিকর রুট অনুসরণ করে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।