গুজরাটের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু মুহূর্ত পরই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট এআই১৭১। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলটরা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত জরুরি সংকেত বা বিপদ সংকেত ‘মেডে’ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এসিটি) থেকে সেই সংকেতের কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানিয়েছে, বিমানবন্দরটি বর্তমানে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে, আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়ন করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি। বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন — এর মধ্যে ২ জন পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ২৩০ জন যাত্রী। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই পাইলটরা জীবন ঝুঁকির সংকেত ‘মেডে’ পাঠান, যা জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি সংকেত।
তবে সেই সংকেতে এটিসি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী
একটি ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হচ্ছে। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত বলে জানা গেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্লাইট এআই১৭১, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক যাচ্ছিল, আজ ১২ জুন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছি এবং যথাসম্ভব দ্রুত পরবর্তী আপডেট দেবো।’
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শঙ্কা প্রবল। দমকল বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
উদ্ধার অভিযান চলছে এবং ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার ও বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি