দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যা, নিহত অন্তত ৪৯

SHARE

দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একাধিক স্কুলশিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী অস্কার মাবুইয়ানে বুধবার সকালে জানিয়েছেন, ‘প্রতি ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

এর আগে মথাথা শহরে গত মঙ্গলবার সকালে একটি সেতু পার হওয়ার সময় একটি বাস স্রোতে ভেসে যায়। এই ঘটনায় বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও চার শিশু।

স্থানীয় টিভি চ্যানেল নিউজরুম আফ্রিকা-কে একজন কর্মকর্তা বলেন, আটটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
তাদের মধ্যে বাসচালকও রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসএবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার তিন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসটিতে মোট ১৩ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ১১ জনই স্কুলশিক্ষার্থী।

সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।
এই কঠিন আবহাওয়ায় সবাইকে সতর্কতা, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের আহ্বান জানাই।’

বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মাবুইয়ানে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি মথাথা শহরের উপকণ্ঠে ডেকোলিগনি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন।

এ সময় উদ্ধারকাজে সাহায্য করার পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সতর্ক করায় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশংসা করেন।

সরকারি তথ্যমতে, ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ওআর টাম্বো, আমাথোলি এবং অ্যালফ্রেড নজো জেলায় ৫৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে পাশের প্রদেশ কওয়াজুলু-নাটালেও ৬৮টি স্কুলের ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার থেকে ভারী তুষার, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা এসকম জানিয়েছে, সংযোগ পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে দুই প্রদেশের একাধিক প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।