স্মিথের রেকর্ডের দিনে নায়ক রাবাদা

SHARE

নতুন এক রেকর্ডের চূড়ায় গিয়ে বসেছেন স্টিভেন স্মিথ। তবে তাঁর দল অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষের ওপর চড়ে বসতে পারেনি। বরং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া দলটি প্রথম দিনের চা বিরতি থেকে ফেরার সময়ও কোণঠাসাই ছিল। গত রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫৬.৪ ওভারে ২১২ রানে অল আউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

স্মিথকেও নামতে হয়েছিল শুরুর বিপর্যয়ের মধ্যেই। শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। উসমান খাজাকে (০) ফেরানোর পর ক্যামেরন গ্রিনকেও (৪) দ্রুত তুলে নেন এই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। ১৬ স্মিথের রেকর্ডের দিনে নায়ক রাবাদারানেই ২ উইকেট হারানোর মতো বিপর্যয়ের মধ্যে নেমে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় এই টেস্টে ওপেনার বনে যাওয়া মার্নাস লাবুশেনকেও (১৭) বেশিক্ষণ পাশে পাননি স্মিথ।
রাবাদার পর এবার জোড়া আঘাত হানেন মার্কো ইয়ানসেনও। লাবুশেনের পর মধ্যাডিগ্রিভোজের বিরতির ঠিক আগে ট্রাভিস হেডকেও (১১) উইকেটের পেছনে কাইল ভেরেইনার ক্যাচ বানান এই পেসার। ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে অস্ট্রেলিয়াও।

বিরতি থেকে ফেরার পর বো ওয়েবস্টারের সঙ্গে স্মিথের জমে যাওয়া জুটি আবার স্বপ্ন দেখাতে থাকে অস্ট্রেলিয়াকে।
রাবাদাকে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পুরো করা স্মিথ পরের বলে সিঙ্গল নিয়ে নতুন এক চূড়াও ছুঁয়ে ফেলেন। ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে সফলতম সফরকারী ব্যাটার এখন তিনিই। এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সময় স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (৫৫১) ও স্যার গ্যারি সোবার্সের (৫৭১) চেয়েও পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁদের তো বটেই, আগের সেরা ওয়ারেন বার্ডসলিকেও (৫৭৫) ছাড়িয়ে যান ওই সিঙ্গলেই। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে রুখে দাঁড়ানো স্মিথও (৬৬) ফিফটির পর টেকেননি বেশিক্ষণ।
এইডেন মারক্রামের অফস্পিনে তিনি পথ হারানোর পর এক ওয়েবস্টারই যা লড়ার লড়েছেন। ৭২ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের সমাপ্তিও ঘনিয়ে এনেছেন রাবাদাই। ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার, সঙ্গী ইয়ানসেনের ৩ শিকার ৪৯ রানে।