নিজেকে মারতে ‘পেশাদার খুনি’ ভাড়া করেছিলেন জোলি!

SHARE

হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার। হলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমাকে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গেছেন তিনি। দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা।
তবে অভিনয় জীবন শুরুর আগে সময়টা একেবারেই মসৃণ ছিল না এ তারকার। ডুবে ছিলেন প্রচণ্ড হতাশায়। এমনকী আত্মহত্যারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

একসময় নিজের জীবনের ইতি টানতে নিজেই ভাড়া করেছিলেন একজন ‘কিলার’! জোলির বয়স যখন প্রায় ১৯ বছর, তখন তিনি গভীর মানসিক সংকটে ভুগছিলেন।
তার জীবন এতটাই হতাশাময় হয়ে উঠেছিল যে, তিনি নিজে আত্মহত্যা করার সাহস পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে তিনি এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন– একজন পেশাদার খুনী ভাড়া করার। জোলি সেই সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ভেবেছিলেন যদি কেউ তাকে খুন করে, তাহলে তার মৃত্যুর দায়ভার তার নিজের উপর থাকবে না এবং এতে তার পরিবারও কম কষ্ট পাবে। তিনি একজন পেশাদারকে খুঁজে বের করেছিলেন এবং তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছিলেন।

তবে, সেই কিলারের কাজ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। জোলি বলেছিলেন যে, সেই ব্যক্তি কয়েক মাস ধরে তার উপর নজর রেখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি মনে করেছিলেন যে, জোলিকে হত্যা করা সঠিক হবে না। এরপরই জোলি ধীরে ধীরে তার মানসিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন এবং জীবনকে নতুন করে দেখতে শেখেন।

এই ঘটনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন সময়কে তুলে ধরে।
তার এই স্বীকারোক্তি কেবল তার সাহসী ব্যক্তিত্বেরই প্রমাণ নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিষণ্ণতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনার গুরুত্বও তুলে ধরে। আজ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একজন সফল অভিনেত্রী, পরিচালক এবং সমাজকর্মী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তার জীবন সংগ্রামের এই গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।

বর্তমানে ছয় সন্তানের মা অ্যাঞ্জেলিনা। মা হিসেবেই নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল ও শরণার্থী শিবিরে কাজ করেছেন। নারী অধিকার ও বাস্তুচ্যুত মানুষের পক্ষে বারবার সোচ্চার হয়েছেন।