আগামী ৭ জুন দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদে যারা বাড়ি যাবেন, তারা ঈদের আগে ও পরে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। এতে ট্রেন, বাস, লঞ্চ ও ফেরিঘাটের শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানো সহজ হবে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারের ছাদে এবং ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
হাইওয়েতে নসিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি যানবাহনে চলাচল পরিহার করুন। চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দিবেন না। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন।
অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালক যাতে গাড়ি না চালায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
দুর্ঘটনা-কবলিত নৌযান শনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযান মালিক নৌযানগুলো ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সংবলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন। হাইওয়েতে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চালাবেন না। যাত্রাপথে অপরিচিত কারো সঙ্গে কোনো যানবাহনে শেয়ারে চড়বেন না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রাপথে বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চ ঘাটে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাবার গ্রহণ করবেন না। হকার বা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কোমল পানীয়, ডাব, শরবত বা অন্য কোনো খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যাত্রাপথে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কাউকে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি বা প্রতারক চক্রের সদস্য সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিন বা জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ কল করুন।
আপনার আশপাশের যাত্রীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
কেউ কোনো বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করুন; কাউকে সন্দেহ হলে নিকটস্থ পুলিশকে জানান বা জাতীয় সেবার ৯৯৯-এ কল করুন। ট্রাক, লঞ্চ, নৌকায় বা ট্রলারে অতিরিক্ত পশু বোঝাই করবেন না। মহাসড়কের ওপর এবং রেললাইনের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসাবেন না। পশুর হাটে নির্ধারিত হারে হাসিল পরিশোধ করুন। কেউ অতিরিক্ত হাসিল অথবা চাঁদা দাবি করলে নিকটস্থ পুলিশকে জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পশুর চামড়াবাহী যানবাহন সীমান্তমুখী হলে সেগুলো পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সন্দেহজনক ক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানান বা ৯৯৯-এ কল করুন। পশুবাহী পরিবহণের সামনে পশুর গন্তব্যস্থান/পশুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানিয়ে রাখুন। পশুর হাটে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করুন। বড় অঙ্কের নগদ অর্থ বহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা (মানি এসকর্ট) নিন।
জাল টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। কোনো নোট জাল সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশকে জানান। বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, নগদ ইত্যাদিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই গোপন পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
শপিংমল/মার্কেটের নিরাপত্তায় সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।