সিরিজ হার এড়াতে জয় পেতেই হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। পুঁচকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাঁচিয়েছেন কেসি কার্টি। মাত্র ৩১ রানে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ঝড় তুলেছেন ডানহাতি। আর তাতেই রানের পাহাড়ে চড়ে ক্যারিবীয়রা। এরপর বোলাররা জ্বলে ওঠায় বড় জয় পেয়েছে তারা। তবে ইনজুরির কারণে আয়ারল্যান্ডের শেষ দুই ব্যাটারই ব্যাট করতে পারেননি।
গতকাল (রোববার) ডাবলিনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড।
আগে ব্যাট করা ক্যারিবীয়রা কেসি কার্টির সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২৯.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে আইরিশরা। ইনজুরির কারণে শেষ দুই ব্যাটার লিয়াম ম্যাকার্থি ও জশ লিটিল ব্যাট করতে নামেননি।
আগে ব্যাট করা ক্যারিবীয়রা ৩১ রানেই দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং (১) ও এভিন লুইসকে হারায়। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে কেসি কার্টি ও অধিনায়ক শাই হোপ বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। এই জুটিতে ১৪৭ বলে ১৩৭ রান যোগ করেন তারা। অধিনায়ক হোপের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে।
৭৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রান করে ম্যাকব্রাইনের শিকারে পরিণত হন হোপ। উইকেট হারালেও ততক্ষণে কার্টি পুরোপুরি ছন্দে। আমির জাঙ্গুর সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। যেখানে জাঙ্গুর অবদান ২২ রান। ডকরেল ফেরান জাঙ্গুকে। ততক্ষণে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কার্টি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে জাস্টিন গ্রেভস ও কার্টি তাণ্ডব চালিয়েছেন। মাত্র ৩৮ বলে এই জুটিতে ৯৭ রান যোগ হয়। কার্টি ছুটছিলেন ডবল সেঞ্চুরির পানে। কিন্তু ৩০ রান দূরেই থামতে হয়। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
লিয়াম ম্যাকার্থির বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৪২ বলে ১৫ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭০ রান করেন কার্টি। ৩৪ ওয়ানডের ৩১ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এছাড়া আছে ৫টি হাফ সেঞ্চুরিও।
কার্টির বিদায়ের পর অর্ধশতক পূর্ণ করেন গ্রেভস। মাত্র ২৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ঠিক ৫০ রান করে আউট হন তিনি।
ব্যারি ম্যাকার্থি ১০ ওভারে ১০০ রান দিয়ে ৩টি ও লিয়াম ১০ ওভারে ৯৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা আইরিশরা নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। দলের পক্ষে কাড কারমাইকেল সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। এছাড়া লারকান টাকার ২৯, ম্যাকব্রাইন ২৮, অধিনায়ক পল স্টারলিং ২৬ ও ডকরেল ২৩ রান করেন।
জেডন সিলস ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজসেরাও হয়েছেন কার্টি।