ইনিংসের ২৩তম ওভারে এবং পাকিস্তানের দলীয় ৫৮ রানের মাথায় দুই উইকেট পড়ে গেলেও আর উইকেটের দেখা মিলছিল না স্বাগতিক বোলারদের। তবে, ইনিংসের ৮৫তম ওভারে মোহাম্মদ শহীদের বলে শুভাগত হোমের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরত যান ১৪৮ রান করা ইউনিস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ তিন ইউকেটে ৩০৮ রান। আজহার ১২১ রানে ব্যাট করছেন। আজহার আর ইউনিস মিলে ২৫০ রানের বড় জুটি গড়েন।
দলীয় ৫৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার আউট হলেও ইউনিস খান ও আজহার আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পার্টনারশিপে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
ইউনিস ১৪২ বল মোকাবেলায় ৯টি চার ও এক ছক্কায় টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অন্যদিকে, ১০টি চারের সাহায্যে আজহারের শতকটি আসে ২১২ বল থেকে।
শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ফিল্ডিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস জিতে এ ম্যাচে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম।
মোহাম্মদ শহীদ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ (৮ রান)। এর আগে আরেক পেস বোলার শাহাদাত চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যান। তবে, প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর মাঠে ফেরেন শাহাদাত। তবে, মধ্যাহ্ন বিরতির সময় অনুশীলন করতে গেলে আবারো চোট পান তিনি।
দিনের শুরুতে হাফিজকে হারিয়ে বেশ বড় ধাক্কা খায় সফরকারী পাকিস্তান। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তানকে আরেকবার কাঁপিয়ে দেন মোহাম্মদ শহীদ। নিজের ষষ্ঠ ওভারে থার্ড স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আজহারকে। তবে, ‘নো বল’ হওয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যান আজহার।
খুলনা টেস্টের ৬ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের সফল বোলার তাইজুলের শিকারে দলীয় ৫৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন সামি আসলাম। চোটের কারণে বাইরে থাকা শাহদাত মাঠে ফিরলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১৯ রান করা সামি আসলাম।
প্রথম সেশনের ২৮ ওভার ব্যাট করে পাকিস্তান মাত্র ৭০ রান তোলে। সেটিও দুই উইকেট হারিয়ে। কিন্তু, দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে আরও ১২৬ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সফরকারীরা। আর সেটি মাত্র ৩১ ওভার ব্যাট চালিয়ে। দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামেন অপরাজিত থাকা আজহার আলি এবং ইউনিস খান।
দিনের শুরুতে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং সূচনা করতে আসেন শাহাদাত হোসেন। আর পাকিস্তানের ব্যাটিং উদ্বোধন করতে ক্রিজে আসেন গত টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং সামি আসলাম।