দেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতি হবে না : আমীর খসরু

SHARE

বাংলাদেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতি হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনা হবে প্রত্যেকটি নাগরিকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং প্রত্যেকটি নাগরিকের পরিচয় হচ্ছে বাংলাদেশি। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। তাই এ রাষ্ট্রে, সমাজে, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না।

রবিবার (১১ মে) সকালে নগরীর বৌদ্ধ মন্দিরস্থ ডিসি হিলের সামনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শান্তি শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র গড়ব। এখানে বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না।
আমরা সবাই মিলে দেশ গড়ব।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চিন্তা-চেতনা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে এনেছেন এ জন্য। এ দেশে বসবাসরত সব মানুষ আমরা বাংলাদেশি।
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, এ কথাটা পরিষ্কার। আমরা মেসেজ দিতে চাই, এ দেশ সবার।’

মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্ন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ শান্তি শোভাযাত্রায় দেশের রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকতে হবে। অপরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু অপরের যেই মত সেটাকে সম্মান জানাতে হবে। ভিন্ন থেকেও আমরা একসঙ্গে চলতে পারব, সম্মান জানাতে পারব, কোনো অসুবিধা নেই।
সবাইকে সহনশীল হতে হবে। দেশে যেনে আরো শান্তিপূর্ণ রূপ নেই। তাই এ দেশের মানুষ একটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ চাই। যেখানে সবাই উঠে আসবে। আজকের শোভাযাত্রা সেটারই প্রতীক হিসেবে মনে করি।’

দেশে আর অশান্তি চাই না বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘বুদ্ধিস্ট কমিউনিটিতে যারা দেশে আছে। তারা কিন্তু চট্টগ্রামেই বেশি বসবাস করেন। তাদের সাথে আমাদের ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া। অনেক বন্ধু একসাথে লেখাপড়া করেছি। বৌদ্ধ পূর্ণিমার যে শান্তির বাণী এটা সারা বিশ্বে আছে এবং বাংলাদেশের জন্য বেশি প্রযোজ্য। আমরা বিগত ১০-১৫ বছর অনেক অশান্তির মধ্যে থেকেছি। এত অশান্তির মধ্যে থেকেছি যে এ সমাজ ভেঙে গেছে, রাজনীতি ভেঙে গেছে, দেশ ভেঙে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এমন দেশ সমাজ গড়তে চাই, যেই দেশ হবে শান্তি। আমরা আর অশান্তি চাই না বাংলাদেশে।’

শান্তি শোভাযাত্রায় ৬১টি সংগঠন অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়ে এনায়েত বাজার, জুবলী রোড়, নিউ মার্কেট, কোতোয়ালি মোড়, লালদীঘি পাড়, আন্দরকিল্লা, চেরাগি মোড় হয়ে পুনরায় বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন, আর কে কে বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ মিনিস্টার মরি মাসানোবু প্রমুখ।