অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এ সময় তারা কালো মাস্ক পরে মুখ ঢেকেছিলেন। তবে বিচারক বিব্রতবোধ করায় এ মামলার কোনো শুনানি হয়নি। আজ ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) কাছে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এ মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক বিব্রতবোধ করে মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি এই মামলা পরিচালনা করতে চান না। এখন মামলার বিষয়ে সিএমএম সিদ্ধান্ত নিবেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। এরপর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন নাসির ও তামিমা।
অন্যদিকে তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন বাদীপক্ষ। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ রিভিশন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন। গত ১৬ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
বিচার চলাকালীন ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।