ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মরিসিও ক্যাসেনেলি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ময়নাতদন্তে অংশ নেওয়া ক্যাসেনেলি জানিয়েছেন, ‘যন্ত্রণায়’ কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছেন ম্যারাডোনা।
আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এমনটিই জানিয়েছেন ক্যাসেনেলি। তিনি বলেছন, ‘হৃদযন্ত্র বন্ধ এবং লিভার সিরোসিসে ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগে কমপক্ষে ১০ দিন আগে তার ফুসফুসে পানি জমেছিল।
ডাক্তার এবং নার্সদের এ বিষয়টা লক্ষ্য করা উচিত চিল। এতে হৃদপিন্ডের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ ছিল। ফলে মৃত্যুর আগে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা যন্ত্রণায় কাতরিয়েচ্ছেন তিনি।’
ম্যারাডোনাকে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল তা গৃহ হাসপাতালের জন্য উপযুক্ত ছিল না বলেও জানিয়েছেন ক্যাসেনেলি।
তিনি বলেছেন, ‘ম্যারাডেনাকে যেখানে রাখা হয়েছিল তা গৃহ হাসপাতালের জন্য উপযুক্ত ছিল না। অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ এবং ‘অ্যাকিউট পালমোনারি এডেমা’য় কারণে ফুসফুসে পানি জমে মারা গেছেন তিনি।’
২০২০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনো। তবে পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন ৭ স্বাস্থ্যকর্মী।
তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই বর্তমানে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসের সান ইসিদরোয় বিচার কাজ চলছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আগামী জুলাই পর্যন্ত কমপক্ষে ১২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। দোষী প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এই বিচার কাজ চলার সময়ই কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয় ম্যারাডোনার সাবেক দেহরক্ষী হুলিও কোরিয়াকেও।