রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো আইনের মূল লক্ষ্য হলো একটি প্রভাব তৈরি করা যেন মানুষ বুঝতে পারে যে আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সড়কে কেউ যদি উল্টো পথে গাড়ি চালায়, কিংবা ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক চালক-শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।