ডিআর কঙ্গোর সঙ্গে মঙ্গলবারই শান্তি বৈঠকে বসার কথা ছিল এম-২৩ বিদ্রোহীদের। কিন্তু ইইউ-র নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে তারা তা বাতিল করেছে। ডিআর কঙ্গোর সঙ্গে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসার কথা ছিল এম-২৩ বিদ্রোহীদের। কিন্তু ইইউ-র নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে তারা তা বাতিল করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই বৈঠকের আয়োজনের চেষ্টা হলেও এতদিন তা সম্ভব হয়নি। দুই পক্ষই এই আলোচনায় রাজি ছিল না। শেষপর্যন্ত তারা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছিল। অভিযোগ, এম-২৩ বিদ্রোহীদের রুয়ান্ডা সাহায্য করে।
ডিআর কঙ্গোয় তারা অস্থির পরিবেশ তৈরি করে। দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে।
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এম-২৩ এবং কিছু রুয়ান্ডার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার পরেই এম-২৩ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে এই বৈঠকে বসা আর সম্ভব নয়।
ইইউ-এর এই পদক্ষেপের জন্যই তারা বৈঠকে বসছে না বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে রুয়ান্ডার প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বেলজিয়ামের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। কিগালির দাবি, বেলজিয়াম নতুন করে সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করছে। উল্লেখ্য, একসময় রুয়ান্ডা বেলজিয়ামের উপনিবেশ ছিল।
কঙ্গোর অবস্থান
ডিআর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি এতদিন এম-২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি ছিলেন না।
গত সপ্তাহে তিনি জানান, এবার বৈঠকে বসতে তার আপত্তি নেই। অ্যাঙ্গোলা এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছিল। কঙ্গোর তরফে জানানো হয়েছে, এম-২৩ বিদ্রোহীরা না এলেও তাদের প্রতিনিধিরা অ্যাঙ্গোলা যাবেন।
গত বছরে কঙ্গোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করেছিল এম-২৩। রুয়ান্ডা অবশ্য দাবি করেছিল, তারা এম-২৩ বিদ্রোহীদের সাহায্য করে না। উল্লেখ্য, পূর্ব কঙ্গোতে নিজেদের জমি শক্ত করতে চায় এম-২৩। ওই অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থে ভর্তি। অন্তত ২০টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চল দখলে নিতে চায়।