ঢাকায় নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধান মাইকেল মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন এবি পার্টি নেতারা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল টিমের অন্যতম সদস্য হাজরা মেহজাবিন। এ সময় ইইউ প্রতিনিধিদলের ডেপুটি হেড ড. বার্নড স্প্যানিয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মিলারকে ২০২০ সালে দলটির আত্মপ্রকাশ, কেন্দ্র ও তৃণমূলে সংগঠন কাঠামো, দেশজুড়ে দলের নেটওয়ার্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতি বিষয়ে ধারণা দেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে সেবা এবং সমস্যা সমাধানের রাজনীতির ধারণা কিভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা তারা তুলে ধরেন। বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভূমিকা সম্পর্কেও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এবি পার্টি মনে করে, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শাসক দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।
তারা যে প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি এখনো মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তুলনামূলকভাবে তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করছে। যদিও অগ্রগতি এবং উন্নয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে এবি পার্টির দায়িত্বশীল সমালোচনা চলমান রেখেছে।
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইইউর এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদান রয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার।
তবে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইইউর পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে এবি পার্টি। এবি পার্টি বিশ্বাস করে যে ২০২৬ সালে এলডিজি গ্র্যাজুয়েশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই তা সংশোধন করা দরকার। বাংলাদেশে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বৈঠকে অনুরোধ জানানো হয়।
দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বিপর্যস্ত হওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কোটি কোটি বেকারদের জন্য কাজের বাজার তৈরি করতে এবং তথ্য-প্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে এফডিআইকে উৎসাহিত করতে ইইউ বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে এবি পার্টি আশাবাদ ব্যক্ত করে। রাষ্ট্রদূত মিলার গণতন্ত্রে উত্তরণ সম্পর্কে নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আরও জানতে আগ্রহী ছিলেন এবং আশ্বস্ত করেছিলেন যে ইইউ তার সহায়তা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবে।