ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সমন জারির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার ইস্যু গঠনের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন তিনি।
সমন জারির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ মামলার আইনি প্রক্রিয়া হলেও বাদীপক্ষ তা না দেয়ায় আদালত বিজ্ঞপ্তি ও ইস্যু গঠনের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন।
সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠনের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক অংশীদারি মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন।
মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃ তফসিল করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।