অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ক্যারিবিয়ান দেশের

SHARE

অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের আগেই জন্মগত নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্যারিবিয়িান অঞ্চলের দেশ বাহামা দ্বীপ পুঞ্জ।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহামাস জানিয়েছে যে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবার বাহামিয়ান প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিসের কার্যালয় জানিয়েছে, ট্রাম্পের ট্রানজিট দলের অভিবাসী প্রত্যর্পণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এ অনুরোধ বিবেচনার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ বাহামার নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। বাহামাস সরকার তার অবস্থানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন মসনদে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পাওয়া এ প্রার্থী ক্ষমতায় গিয়ে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার তৈরি হয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। অন্যদিকে একই বছরে বাহামার আদমশুমারি অনুসারে, দেশটিতে মাত্র চার লাখেরও কম মানুষ বসবাস করছেন।

এর আগে নভেম্বরে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নির্বাচনে জয় পাওয়া রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে বিধান এতদিন প্রচলিত তা তিনি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির আগামীর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের প্রচারাভিযানসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে বিধান তা বাতিল করা হবে। এর পরিবর্তে যাদের পিতা বা মাতার কারোর নাগরিকত্ব অথবা দেশটিতে বসবাসের বৈধ অনুমোদন রয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া কোনো শিশু দেশটির নাগরিকক্ত পেতে হলে তার পিতা কিংবা মাতার কোনো একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা বসবাসের বৈধ অনুমোদন থাকতে হবে। দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে এ নির্দেশনা পাঠানো হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন। ওই দিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।