মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে বন্দুক এবং কর বিষয়ক মামলা ছিল। এই মামলায় তিনি দোষীও প্রমাণিত হয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ছেলেকে ক্ষমা করলেন স্বয়ং বাইডেন। এর ফলে হান্টারকে আর জেলে যেতে হবে না।
২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের অফিসে ঢুকবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন জো বাইডেন।
হান্টারের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতে তার দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকায় শাস্তি মকুবের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। তিনি চাইলে কারো দোষ মকুব করে দিতে পারেন। হান্টারের ক্ষেত্রে সে কাজই করলেন বাইডেন।
সংবাদসংস্থা এএফপি-কে ইমেলে এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হান্টার। সেখানে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমা তিনি জীবন দিয়ে মনে রাখবেন। অসুস্থ এবং রোগক্লীষ্ট মানুষের সেবার কাজে তিনি বাকি জীবন নিয়োজিত করবেন। এটিই হবে তার পাপস্খালনের পথ।
নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন হান্টার। বলেছেন, ওই অন্ধকার দিনগুলো ছিল নেশার। ওই সময় এমন কিছু ভুল করেছি, যার জন্য আমি এখনো লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কাজের জন্য পরিবারকে লজ্জিত হতে হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক জীবনে এর প্রভাব পড়েছে।
জো বাইডেনের বিবৃতি অবশ্য অন্য কথা বলছে। বাইডেন জানিয়েছেন, হান্টারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এবং যেভাবে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা অভূতপূর্ব। আমার ছেলে বলেই তাকে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক।
২০২০ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেই হান্টার জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। বাইডেন বলেছেন, কংগ্রেসে কিছু ব্যক্তি আমার রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তাদেরই চক্রান্তে হান্টারকে ফাঁসানো হয়েছিল। সে কারণেই একজন বাবা এবং একজন প্রেসিডেন্টকে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হলো।
এর আগে বাইডেন বারবার জানিয়েছিলেন, তিনি কোনভাবেই পরিবারের কারো জন্য এই ক্ষমতা ব্যবহার করবেন না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রও সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেন বাইডেন।
অন্যদিকে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান এমপিরা।