সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৭ শহিদের খুনিদের গ্রেফতারে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। অন্যথায় থানা ঘেরাও করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সোমবার রাতে উপজেলার পৌর শহরের চৌমূহনীতে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ গণসমাবেশ থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। উপজেলার ৭ শহিদদের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শহিদ ক্বারী কামরুল আহমদের বাবা রফিক উদ্দিন বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
শহিদ তাজ উদ্দিনের মামা আব্দুল মতিন এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, তাজ উদ্দিনের অবুঝ দুই সন্তান তাদের পিতাকে খুঁজছে। আব্বা আব্বা করে সব সময় ডাকাডাকি করছে। কি দোষ তার যে তাকে গুলি করে হত্যা করা হল।
শহিদ মিনহাজ উদ্দিনের বড় ভাই সাইদ আলম, বলেন আমার ভাই নিহত হওয়ার পর থানায় মামলা করেছি। অথচ পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছেনা। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। এটা রহস্যজনক। আমি আসামিদের গ্রেফতারের দাবি করছি।
শহিদ নাজমুল ইসলামের ভাই সাইফুল আলম বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো অপরাধ ছিলনা। তার অপরাধ সে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছিল। এজন্য তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন সুজন, শহিদদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শহিদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার দাবি জানান।
জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ চৌধুরী মাজেদ ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, এ সময়ের মধ্যে পুলিশ যদি খুনিদের গ্রেফতার না করে, তাহলে থানা ঘেরাও করা হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রহমতে এলাহী লস্কর নায়িম। যুব অধিকার উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল ইসলামের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন, যুব অধিকার পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি শামিম আহমদ অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ চৌধুরী মাজেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ মহানগর শাখার সভাপতি এবি আল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাকের, প্রচার, প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নাঈম ও রিয়াজুল ইসলাম।