দেশে জিডিপির নতুন রেকর্ড

SHARE

গ্রোস ডমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) বা মোট দেশজ উৎপাদনের আকারে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ কোটি টাকা। যা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় (বিবিএস) এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলতি বাজার মূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৪৮ তহাজার ২৭ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১২.৪১ শতাংশ বেশি।

সমীক্ষায় বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মাথাপিছু জিডিপি পূর্ববর্তী অর্থবছরের ২ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯১ টাকা। অপরদিকে, পূর্ববর্তী অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা দাঁড়িয়েছে।

বিবিএস জানায়, মার্কিন ডলার হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু জিডিপি পূর্ববর্তী অর্থবছরের মাথাপিছু জিডিপি ২৬৪৩ মার্কিন ডলার হতে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ২৬৭৫ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময় মাথাপিছু জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি দেশের ৫৩তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম বাজেট। গতবারের তুলনায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে। ‘সুখী সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’ শীর্ষক বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।