গাজায় শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

SHARE

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দুটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। মধ্য গাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ হাসপাতালের মাঠের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ১৫ জনেরও বেশি শহীদ এবং কয়েক ডজন আহত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছেছেন।

যদি মধ্য গাজার এই এলাকায় ‘আগ্রাসন’ বন্ধ না হয়, তবে নিহতদের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুখপাত্র বলেছেন, আল-আকসা শহীদ হাসপাতালই একমাত্র চিকিৎসা অবকাঠামো যা বর্তমানে এই এলাকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আরও রোগীদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালটি ইতোমধ্যেই আহত লোকে উপচে পড়েছে, যাদের মধ্যে অনেককে মেঝেতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের মতে, পার্শ্ববর্তী মাগাজি শরণার্থী শিবিরের আরেকটি বাড়িতে হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছিল, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া স্থল বাহিনী আল-বুরেইজ এলাকায় ‘গোয়েন্দাদের দিকনির্দেশনা সাথে নিয়ে মনোযোগীভাবে’ কাজ করছে।

আল জাজিরার হানি মাহমুদ দেইর আল-বালাহ থেকে বলেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা হতাহতের সংখ্যা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা সর্বত্র দৌড়াচ্ছেন, জীবন বাঁচাতে জরুরি অপারেশন করার জন্য অ্যান্টিসেপটিক্স এবং চেতনানাশকসহ অবশিষ্ট চিকিৎসা সরঞ্জামের সন্ধান করছেন।’

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮২ হাজার ৯৫৯ জন আহত হয়েছেন।