ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধে কঠোর হবে হাইওয়ে পুলিশ

SHARE

আসন্ন ঈদুল আজহায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধে কঠোরভাবে কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশ। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা জানান হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদযাত্রায় এবার বেশ কয়েকটি বিষয়ে কঠোর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ। এর অন্যতম হচ্ছে, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধ করা। যানবাহনের ওভার স্পিড এবার শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোনো যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাদেশের সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। ১৪২৭ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশেই পুলিশের ব্যবস্থাপনায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। যেকোনো কাজই করুক না কেন হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের জন্য বডি অন ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। সেবার মান বাড়ানোর জন্যই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এবারের ঈদযাত্রা হবে আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক। সেটা নিশ্চিতে দায়িত্ব সবাইকেই নিতে হবে৷ আমরা যেন স্বস্তির সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে ঈদযাত্রা ও ফিরে আসতে পারি সেজন্য কেউ ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রায় শামিল হবো না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

শাহাবুদ্দিন বলেন, স্বস্তির ঈদযাত্রায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে অনিরাপদ ঈদযাত্রা। যাত্রীরা যেমন যা পারেন উঠে পড়েন, খোলা ট্রাকে পিকআপে, যানবাহনের ইঞ্জিনে। যা জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আবার আমাদের চালকরাও সুযোগ নিয়ে যাত্রী তুলে নেন। এক্ষেত্রে মালিক ও চালকদের সচেতনতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত ঈদে ফিরতি যাত্রায় খোলা ট্রাক আর পিকআপের মধ্যে মর্মান্তির দুর্ঘটনা ঘটে গেল।

এবার ড্রোন দিয়ে যানজট, জটলা, বিকল গাড়ি খোঁজা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, সাভারে ঈদের আগে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আমরা এবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, ড্রোন দিয়ে দেখব, কোথায় কী হচ্ছে। কোথায় জটলা লাগছে। গার্মেন্টস কর্মীরা যাতে ঈদে স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারেন সেজন্য কারখানাতেই ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে৷ কারখানাগুলোতেই পরিবহন ব্যবস্থা করা ও যানবাহনগুলো ঠিক করা। এক্ষেত্রে শিল্প পুলিশ, কারখানা কর্তৃপক্ষ মালিক শ্রমিক সবাই সহযোগী হবেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স গ্রুপ, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, পণ্য পরিবহন বিভাগ, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনারস অ্যাসোসিয়েশন, বাস মালিক সমিতি, মহাখালী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।