দুই সপ্তাহে গাজায় বাস্তুচ্যুত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

SHARE

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় বিগত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ফের বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৯ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য এবং স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণের ভিত্তিকে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

চলতি মাসের শুরুতে রাফাহে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সময় তারা রাফাহে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। মূলত রাফাহে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে প্রাণ বাঁচাতে শহরটির বাসিন্দা এবং সেখানে আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া গাজার অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘ গতকাল সোমবার জানিয়েছে, গত ৬ মে থেকে শুরু করে গত ১৮ মে পর্যন্ত ১৩ দিনে রাফাহ থেকে প্রায় ৮ লাখ ১২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে গাজায় এই সময়ের মধ্যে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন—গাজায় কোনো ধরনের গণহত্যা চলছে না। এর মধ্য দিয়ে তিনি মূলত, ইসরায়েলের নির্বিচার আগ্রাসনের পক্ষেই কথা বললেন। গতকাল সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে ইহুদির একটি উৎসবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ‘আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন—আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এটি (এই অভিযোগ) প্রত্যাখ্যান করি।’

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে দিন, আমরা ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আইসিসিতে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।’