সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ বিমান হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনায় যুক্তরাষ্ট্র শঙ্কিত। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি সিএনএন’কে এ কথা বলেছেন।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি বড় ধরনের যুদ্ধের সম্ভাবনা সম্পর্কে টিভি উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এ ব্যাপারে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। আসলে, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন তার মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি ইরানের এটি একেবারে প্রকাশ্য হুমকি।’
কিরবি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা ইসরায়েলকে যে নিরাপত্তা সহায়তা করি তা শুধুমাত্র গাজার জন্য নয়। এ ধরনের একাধিক হুমকির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র আপনার পাশে থাকবে।’
এর আগে, ইসরায়েলের আই২৪ নিউজ’কে জানায়, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ভয়াবহ হামলার পর ইহুদি রাষ্ট্র সম্ভাব্য ইরানি হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল।
১ এপ্রিল সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানা পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী দামেস্কের একটি ভবনে হামলা চালিয়েছে। ইরানি মিডিয়া আউটলেটগুলো বলেছে, ইরানের কনস্যুলেট ভবনে এই হামলার লক্ষ্য ছিল। সেখানে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে’ হামলায় জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি-রাহিমিসহ সাতজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, তেহরান ইসরায়েলকে তাদের হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে এবং প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এ হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েল আইআরজিসির একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, কোন কূটনৈতিক মিশনে নয়।
খবর তাস