নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি : চুন্নু

SHARE

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

আজ রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পায়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুইজন আমার দলের পরিক্ষিত নিবেদিত কর্মী। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

জাতীয় পার্টির ১৩ জন মিলে সংসদে কোন উপকার করবে জানতে চাইলে মজিবুল হক চুন্নু বলেন, আপনি যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন গত পার্লামেন্টে অপজিশনে অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তারা সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন লিডার ৫ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্ট এসেছিলেন। তাই ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কি। ১৩ জন যদি আমরা অ্যাক্টিভ থাকি, জনগণের পক্ষে কথা বলি, সোচ্চারভাবে সাহসের সঙ্গে জনগণের মনের কথা বলতে পারি তবে সংখ্যাটা বড় নয়। কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, নিশ্চয় আপনারা ইতিহাস জানেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। আমার মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্ট যারা আছি, তাদের ১১ জনের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মত ক্যাপাসিটি আছে।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এগিয়ে না নিয়ে জাতীয় পার্টি তা নষ্ট করেছে- এমন মন্তব্যে চুন্নু বলেন, আপনি যেটা বলছেন এটা বিএনপির কথা। যারা নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু আপনি কি মনে করেন আমরা নির্বাচনে না আসলে যদি দেশে নির্বাচন না হতো তাহলে কি হতো। বিষয়টি একটু চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যেতেন। কারণ জাতীয় পার্টির ইতিহাস নির্বাচন বর্জন নয়। কারণ নির্বাচন ছাড়া পার্লামেন্ট রাজনীতিতে ক্ষমতা অদল বদলের আর কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন না হলে এখানে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম হওয়ার সুযোগ ছিল। আমি মনে করি আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজ করেছি।

৭ তারিখের নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছেন, নাকি সরকারকে বাঁচিয়েছেন, নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আপনি যেভাবে নেন। আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি।