রোজার আগেই গ্যাস সংকট দূর হবে : প্রতিমন্ত্রী

SHARE

ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে আগামী তিন বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি খসড়া পরিকল্পনা হাজির করেছেন টানা তৃতীয় মেয়াদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ মুহূর্তে যে গ্যাস সংকট চলছে, আগামী মার্চে রোজা শুরুর আগেই তার লাঘব হবে বলে আশা দেখিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে গ্যাসের সংকট চলছে। তবে সেটি শিগগিরই কেটে যাবে। আমরা আশা করছি, এ অসুবিধা খুব সাময়িক। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে গেছে। মেরামতে থাকা এলএনজির দ্বিতীয় টার্মিনালটি দু-এক দিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। তখন গ্রিডে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বড় পরিকল্পনা হলো আগামী মার্চ থেকে আমরা যেন গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি। সামনে রোজার মাস আসছে, সেটা সামনে রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৬টি কূপ খননের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে। এতে দেশে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। নতুন করে আরও ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলা আগামী ৫০ বছরের গ্যাস উত্তোলন, সরবরাহ সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আগামী মার্চের দিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দর নির্ধারণ বাস্তবায়ন হতে পারে। এরপর গ্যাসের দর বাস্তবায়ন হবে।