অভিবাসন আইন কঠোরে একমত ইউরোপীয় ইউনিয়ন

SHARE

আশ্রয় ও অভিবাসনপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের কীভাবে সামলানো হবে, এ বিষয়ে আইনে সংস্কার আনতে মতৈক্যে পৌঁছেছে ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার জোটভুক্ত দেশ ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা এ ঐকমত্যে পৌঁছান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এই চুক্তিকে একটি ‘ঐতিহাসিক চুক্তি‘ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই সংস্কারে ইইউর অভিবাসন-সংক্রান্ত আইন আরো কঠোর হবে। এতে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই দ্রুত করা, সীমান্তে আটককেন্দ্র তৈরি এবং আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর মতো বিষয় রয়েছে। ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলোর ওপর চাপ কমানোর জন্য একটি প্রক্রিয়াও নতুন চুক্তিতে রয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার অধীনে কিছু আশ্রয়প্রার্থীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশে স্থানান্তর করা হবে। যেসব দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের আর্থিক বা কাঠামোগত অবদান রাখতে হবে।
ইইউর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্পেন আইন সংস্কারের দীর্ঘ এ আলোচনা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে। বুধবার দেশটি বলেছে, আশ্রয় ও অভিবাসনবিষয়ক ইইউর নতুন চুক্তির পাঁচটি নথির বিষয়ে জোটের সদস্যদেশগুলোর রাজনৈতিক মতৈক্য হয়েছে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারিতিস স্কিনাস বলেন, এখানে আসতে বহু পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তবে আমরা পেরেছি। অভিবাসন নিয়ে অবশেষে কিছু একটা করছে ইউরোপ।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, অভিবাসন ইউরোপের অভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ। আজকের সিদ্ধান্ত আমাদের সবাইকে এক হয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার সুযোগ করে দেবে।