বিজয়ের মাসে মানুষ নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে : খাদ্যমন্ত্রী

SHARE

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিজয়ের মাসে মানুষ নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষের বিপুল অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের আশা কোনো দিনই পূরণ হবে না।
আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সব অপশক্তিকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড় করিয়েছেন। এটাই হলো মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা মনে করি মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনের যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থির করেছেন আমরা সেটি অর্জন করতে সক্ষম হব।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষকের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি জেল খেটেছেন। ছয় দফা আন্দোলন দিয়েছেন, ঊনসত্তরে গণ অভুত্থান করেছেন, সত্তরের নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। ৭ মার্চে তিনি মহান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তার আহবানে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ১ কোটি মানুষ দেশ ছাড়া হয়েছে। মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও গণহত্যা করেও বাঙালি জাতিকে দাবায়ে রাখতে পারেনি পাকিস্তানি বাহিনী। দেশ স্বাধীনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাষ মজুমদার গোপালসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এ ছাড়া সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মশরপুর বাইপাস মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। পরে পুলিশ সুপার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিকদল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।