দু-এক দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা দিতে পারে কমিশন : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’একদিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি দেশব্যাপী ১০ হাজার ৪১টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করেনি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন বানচাল করার জন্য অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তার করছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বাবরবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। দীর্ঘসময় সরকারে থাকার কারণেই আমরা যেভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছিলাম সেভাবে করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনের দল। দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগই সুসংহত করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন ছাড়া বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসেনি।
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে বলেই দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচন। আমরা রূপকল্প-২১ ঘোষণা দেই। আমরা সেই নির্বাচনে এককভাবে আওয়ামী লীগ ২৩৩টা সিটে আমরা জয়লাভ করি। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টা সিট। আর অন্যান্য সব দল মিলে বাকি সিট। এইভাবে আমরা সরকারে আসি। ২০১৪-এর নির্বাচনে আমরা জয়ী হই। তখনও নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা করা হয়; অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়। এরপর আবার ২০১৮ সালেও নির্বাচনের একই ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনোদিন, মানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া কিন্তু সরকার গঠন করে নাই। আর আমরা দেশের নির্বাচনকে জনগণ যাতে তাদের ভোটের অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য নির্বাচনি আইন, আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে যতগুলি সংস্কার, সবগুলি সংস্কার কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে শুধুমাত্র জনগণের ভোট নিশ্চিত করবার জন্য। রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে আবার জনগণের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে বলেই দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে ভোট চুরির সংস্কৃতি শুরু করে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি আরও বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ক্ষমতায় বসায় জিয়া। বিএনপির সময় স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৭ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ সরকার সেটি নিয়ে এসেছে ৭৬ শতাংশ। খাদ্য উৎপাদন আমরা বৃদ্ধি করেছি।
দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার চলার পথ মসৃণ ছিল না। বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। তারপরেও আমি দমে যায়নি। আমার লক্ষ্য ছিল স্থির। তা হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। কারণ বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করি। মানুষের জন্যই কাজ করি।
অনুষ্ঠানে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।