অধিনায়কত্ব নিয়ে চাপে বাবর আজম

SHARE

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ে নিজের দায়িত্ব নিয়ে চাপে আছেন বলে স্বীকার করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ায় হতাশ তারা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩ রানের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে পাকিস্তান। এর আগেই অবশ্য ১৯৯২’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শেষ চারে খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।

বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তান ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে। এরমধ্যে আহমেদাবাদে এক লাখ সমর্থকদের সামনে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত হতে হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ ম্যাচে ৮ পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পরাজিত হয়েছে দ্য গ্রিন ম্যানরা।

বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ৪ হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছেন বাবর। ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করলেও মাঝপথে ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিলের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাবরের রানসংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার।

তবে ভারতের মাটিতে ফিল্ডিং সেট-আপে আগ্রাসনের অভাবে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো এই ব্যাপারে তাকে ধারাবাহিকভাবে অভিযুক্ত করে গেছে। যদিও পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বলেছেন, আমি বাবরের পক্ষে, সে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সে এখনও বয়সে তরুণ, তাকে আরও কিছুদিন অধিনায়কত্ব করার সুযোগ দেওয়া উচিত।

২০২০ সাল থেকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাবর পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করে আসছেন। আর্থার বলেন, সে এখনও শেখার মধ্যে আছে। আমরা সবাই জানি সে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। অধিনায়ক হিসেবেও সে প্রতিদিনই শিখছে। তাকে আরও কিছুদিন কাজের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এই পদে থাকলে ভুল হবেই। যতক্ষণ শেখার মধ্যে আছে, ততদিন এই ধরনের ভুল করা বড় কোনো অন্যায় নয়।

সাত বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। ম্যাচ ও অনুশীলনের বাইরে প্রায় বেশির ভাগ সময়ই নিরাপত্তার কারণে তাদেরকে হোটেল রুমেই বন্দি থাকতে হয়েছে। কোনো সময় হোটেলের বাইরে যেতে হলে নিরাপত্তা কর্মীদের অতিরিক্ত তৎপরতা দেখা গেছে।

এদিকে রমিজ রাজা বলছেন, বাবরের ওপর চাপ এতটাই বেশি যে তাকে হয়তো অধিনায়কত্ব ছাড়তে হতে পারে। প্রত্যাশানুযায়ী দেশেও পুরো দলকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া খুব একটা ভালো না। পাকিস্তানি গণমাধ্যমও বিশেষ কিছু খেলোয়াড়কে টার্গেট করে রিপোর্ট করেছে, তাদের মধ্যে বাবর আজম অন্যতম। এটা যেহেতু বিশ্বকাপ, এখানে চাপ থাকবেই। সমস্যা হচ্ছে, এই দলটির মধ্যে আধুনিক ক্রিকেট খেলার সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তারা সময় মতো সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছে না।