‘হামাস ইস্যুতে’ তোপের মুখে গাল গ্যাডট

SHARE

সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন হলিউডের ইসরায়েলি অভিনেত্রী গাল গ্যাডট। সামাজিক মাধ্যমে হামাসের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিন্দা জানিয়ে হতাহতদের জন্য সমবেদনা জানান গ্যাডট। তখন ভক্তদের বেশ রোষানলে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের ভিডিও প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়ে আবারও তোপের মুখে পড়লেন গ্যাডট।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল থেকে সংগৃহীত একটি ফুটেজের স্ক্রিনিং আয়োজন করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন গাল গ্যাডট। ৪৭ মিনিটের সেন্সরবিহীন ফুটেজটি দেখানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনী, যার শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘বেয়ারিং উইটনেস টু দ্য সেভেন্থ অক্টোবর মারাকাস’। ভিডিওটিতে ১৪০০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জন জিম্মিকে অপহরণ করার দৃশ্য রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস এবং নিউ ইয়র্কে হলিউডের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই ভিডিও প্রদর্শনী দেখতে পারবেন দর্শকরা।
ক্লিপটি ‘আইডিএফ’-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে এবং এটি ইতিমধ্যে গত সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকদের জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে।
ইহুদি এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হলিউডের প্রায় ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্যাডটের আয়োজিত প্রাথমিক প্রদর্শনীতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওয়াইনেট অনুযায়ী, পরে আরো স্ক্রিনিং নির্ধারিত হতে পারে। ইভেন্টের সময় চিত্রগ্রহণ বা ফোন ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অস্কারজয়ী পরিচালক গাই ন্যাটিভ ভিডিওটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউজউইক অনুসারে, এর আগে পরিচালক বলেছিলেন যে গাল গ্যাডট এবং তার স্বামী ইয়ারন ভারসানো এটি সম্ভব করতে সহায়তা করেছিলেন। প্রদর্শনীর তারিখ এবং অতিথি তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে গ্যাডটের এই প্রদর্শনীর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল সমালোচনার শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক বিদ্রুপমূলক মন্তব্যের মুখে পড়ছেন তিনি।
কেউ লিখছেন, ‘তার ক্যারিয়ার শেষ।’ কেউ বা লিখছেন, ‘এই স্ক্রিনিংয়ে যাওয়া প্রত্যেক সেলিব্রিটিকে বয়কট করুন। প্রত্যেককেই।’ অনেকে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় অভিনেত্রীদের একজন এখন আমার ঘৃণার তালিকার একজন হয়ে উঠেছেন।’
চলমান গাজা-ইসরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামার আশঙ্কায় সবাই। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর দেড় হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। গাজায় আরো ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ১০ হাজার ৩০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার ৭০ শতাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ।