বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে দাবি করে যেখানে তাদের পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারও ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতেনাতে ধরে আগুনে ফেলে দিন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সহিংসতার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন নিরীহ পুলিশ, তার কী অপরাধ ছিল। তারা শুধু এখনই না, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আগুনে পুড়িয়েছে। গাড়ি-ঘোড়া সবই পুড়িয়েছে। হাজার হাজার গাছ কেটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যখন জনগণ প্রতিরোধ করেছে তারা থেমেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজও বলব, অগ্নিসন্ত্রাসী যেখানেই থাকুক, এভাবে যারা আগুন দেবে তাদের সাথে সাথে প্রতিরোধ করতে হবে। কারও ওপর নির্ভর না করে জনগণকে এই প্রতিরোধ করতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘটিত হয়ে আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান দলীয় প্রধান। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসীদের হাতেনাতে ধরে আগুনে ফেলে দিন। যে হাতে আগুন দিতে আসবে সে হাত পুড়িয়ে দিন। যে যেমন তার সঙ্গে তেমন করতে হয়। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।
অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, সারাদেশে কোন এলাকায় কত বিএনপি আছে, কারা এসব কাজ করছে তালিকা করুন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কোনো মুরব্বি নেই। আমাদের আছে দেশের জনগণ। তাদের নিয়েই আমাদের চলতে হবে। আগামী নির্বাচনে দল যার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বিএনপি নির্বাচন চায় না, তারা বানচাল করতে চায় দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে। বিএনপি নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।
জেল হত্যা দিবসের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল আমাদের জাতীয় চার নেতাকে। কারাগার সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা, এই কারাগারই ঢুকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীরবিক্রম, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।