বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠে মিথ্যাচার শুরু করেন : কাদের

SHARE

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠে মিথ্যাচার শুরু করেন, সত্য কথা বলার মানসিকতা তারা হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের কোনো শুভবোধ নেই।

আজ শুক্রবার সকালে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর তাদের যেতে হয়েছিল গোলাপবাগের গরুহাটে, এখন কোথায় যাবে সেটাই দেখার বিষয়। ১০ ডিসেম্বরের মতো আগামী ২৮ অক্টোবরও বিএনপির একই পরিণতি হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। যার উদাহরণ ২০০১ ও ২০০৬। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাংলাদেশে আর করার সুযোগ নেই। আদালত বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে এনে ২০০১ এবং ২০০৬ এর পরিস্থিতির মতো আবার পুনরাভিত্তি বাংলাদেশ হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্মীয় উৎসবের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টা সব সময় আলাদা একটা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী যারা আছেন, তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে ভায়োলেন্সের মতো ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ভোটের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা না হলে আমাদের চলে না, কিন্তু তারা যখন বিপদে পড়বে, তখন আমরা তাদের পাশে থাকি না। এটা তো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না। আমার ভোটের সময় তাদের প্রয়োজন অথচ তাদের জীবন যাপনে তাদের ধর্মীয় পালনে আমাদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হবে, যারা ঘটনা ঘটায় তারা দুর্বৃত্ত। আমি এদেরকে হিন্দু মুসলমান বুঝি না। এদের পরিচয় এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্ত মুসলমানদের মধ্যে নেই তা বলার উপায় নেই। আমাদের পার্টির সবাই খুব ভালো মানুষ এটা দাবি করারও কোনো উপায় নেই। কারণ, কিছু কিছু ঘটনা ঘটে, বাড়ি ঘরে আগুন লাগে, জমি দখল করে, এগুলো একটা অসভ্য উদ্দেশ্যে অনেকে এসব ঘটনাগুলো ঘটিয়ে থাকে। অনেকে মানসিকভাবে এদের কথাবার্তা বলার স্বাধীনতা থাকে না। তখন সেখানে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিটা যদি গালিগালাজের সঙ্গে উচ্চারিত হয় সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দলগতভাবে এসব ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করছি। এদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক করছি। পুনরাবৃত্তিরোধে এ ধরনের ঘটনার জন্য আমরা কিছু কিছু ব্যবস্থা নিতেও শুরু করেছি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব ঘটনা যখন কোথাও ঘটে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যখন জানানো হয়, তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন। যেখানে যাকে দরকার তাকেই ফোন করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। আমরা যারা দলের দায়িত্বে আছি তাদেরকে ডেকে বিস্তারিত শোনেন। এ ধরনের ঘটনার প্রশ্রয় দেওয়ার উচিত নয় বলেও জানান। এসব বিষয়গুলো লোক দেখানোর জন্য তিনি বলেন না। এটা তিনি মন থেকেই বলেন। এ বিষয়ে আমাদের ভুল বুঝবেন না। বাস্তব পরিস্থিতিতে আমাদের কারো অনুকূলে নয়।
আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক দলও আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, হিন্দুদের মধ্যে আলাদা দুটো আছে। তারাও আবার মাইনরিটি জোট নিয়ে মাঝে মাঝে বিবৃতি দেয়। বক্তৃতা শুনি। শুধু জোট নয় মহাজোট করেছে। সমর্থন একদম নাই তা নয়। গয়েশ্বর বাবু আছেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিকক, সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলার সম্পাদক এবং প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, দপ্তর সম্পাদক মিলন কান্তি, জয়ন্ত কুমার দেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।