নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সতর্কতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

SHARE

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি করা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ‘কৌশল’ হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো অস্থিরতা নেই তারপরও আমেরিকা তাদের নাগরিকদের জন্য যে সতর্কতা দিয়েছে তা তাদের নিজস্ব বিষয়।
তিনি বলেন, একটি দেশের নির্বাচনের আগে কোনো কোনো দেশ এসব সতর্কতা জারি করে মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।
বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর হালনাগাদ সতর্কতা জারি করেছে। হালনাগাদ করা ওই ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গোষ্ঠীগত সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা, অপহরণসহ নিরাপত্তাজনিত অন্যান্য ঝুঁকি থাকার কথা উল্লেখ করে সেখানে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্যান্য তৎপরতা এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের সংখ্যা বাড়তে পারে এবং এগুলোর গতি তীব্রতর হতে পারে। বাংলাদেশ ভ্রমণকারীদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত এবং মনে রাখা উচিত যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভগুলো যেকোনো সময় সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে, এগুলো মুহূর্তের মধ্যে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও প্রকাশনা উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক না পাঠালে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো বিশ্ব রাজনীতির একটা খেলা। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমেরিকা পর্যবেক্ষক না পাঠালে তাতে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না।
তিনি বলেন, মানবাধিকার, ফ্রিডম অব স্পিচের বিক্রেতা যারা সাজে তারাই আবার ফিলিস্তিনে লাখ লাখ মানুষকে বাড়িছাড়া করার তৎপরতায় সমর্থন দেয়। যেটা খুবই আপত্তিকর বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে এ দেশের জনগণের সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কোনো দেশের সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই।’