গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য। ’৭০ সালে নির্বাচন হয়েছিল। মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তখন স্লোগান দেওয়া হয়েছিল যে, ভোটের বাক্সে লাথি মারো এবং বাংলাদেশ স্বাধীন কর। ’৭০ সালের নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। অনেক রাজনৈতিক দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে তাহলে সরকার কীভাবে মোকাবিলা করবে- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার সেই ক্ষমতা বিএনপির নেই। ২০১৪ সালে আমরা তাদের মোকাবিলা করেছি। সেই পরিস্থিতি বিএনপি কখনোই তৈরি করতে পারবে না।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির প্রচেষ্টা আছে আবার একই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার। কিন্তু তারা ১৪ সাল কিংবা ১৫ সালেও যে আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, এটি তাদের এখন করতে বাংলাদেশের মানুষ দেবে না এবং আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল ও তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট কালেকশন হয়েছে। আমরা চাই অবশ্যই বিএনপিসহ সবাই অংশগ্রহণ করুক, কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য।’
নির্বাচনে যদি বিএনপি না আসে ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে কোনো শঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আসবে, সেটি আমরা মনে করি। গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্য দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। যদি নাও আসে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’