আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাইলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : আইজিপি

SHARE

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী। পর্যাপ্ত জনবল আছে, লজিস্টিক আছে। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে তাদের প্রতিহত করবে। পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা আছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যদি কেউ ঘটাতে চায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
আজ রোববার বেলা আড়াইটায় বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিল সেডে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইজিপি।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি। এই নীতিতে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাহাড়ে কিংবা অন্য কোনো জায়গায় যখনই তারা মাথা চারা দিয়েছে সেখানেই পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সব সময় সহযোগিতা পাচ্ছে বলেই পুলিশ সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের মানুষি শান্তি প্রিয়। অতীতে তাদের যে সহযোগিতা পেয়েছি, আগামীতেও সেই সহযোগিতা পাবো আশা করছি।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে আসছে। এই দায়িত্ব পালনে পুলিশের অভিজ্ঞতা রয়েছে, লোকবল আছে, প্রশিক্ষণ রয়েছে, লজিস্টিক রয়েছে। আইনগতভাবে কি করতে পারবে বা সীমাবদ্ধতা কি এ বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করা আছে। নির্বাচনকালীন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধিনে দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব দেবে, পুলিশ সকল সক্ষমতা দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করবে।
বরিশাল অঞ্চলে পুলিশের একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সাংবাদিকদের বলেন তিনি।
এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার হোসেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. জামিল হাসান, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম সহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বরিশাল বিভাগ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ লাইনের হলরুমে রুদ্ধদ্বার সভা করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।