আলাকারাজকে হারিয়ে সিনসিনাতির শিরোপা জিতলেন জকোভিচ

SHARE

প্রায় চার ঘণ্টার কঠিন লড়াইয়ের পর কার্লোস আলকারাজকে পরাজিত করে এটিপি সিনসিনাসি ওপেনের শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে নোভাক জকোভিচ।
বিশ্বের শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে জমাট এই লড়াইটা দারুণ উপভোগ করেছেন সিনসিনাতির দর্শকরা। ফাইনালে ৫-৭, ৭-৬ (৯/৭), ৭-৬ (৭/৪) গেমে স্প্যানিশ আলকারাজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন নোভাক।
২৩ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জকোভিচ বলেছেন, ‘এটা সত্যিই ভিন্ন এক ম্যাচ ছিল, এ সম্পর্কে কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না। এর বর্ণনা দেয়া কঠিন। আমি আমার ক্যারিয়ারে যত ম্যাচ খেলেছে এটি সবচেয়ে কঠিন ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা একই তালে লড়াই করে গেছি। একে অপরকে কিভাবে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় সেই চিন্তা করেছি। সব মিলিয়ে কঠিনতম ও অন্যতম উত্তেজনাকর একটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা আজ অর্জন করলাম। এই ধরনের ম্যাচের পর আরও বেশি পরিশ্রমী হবার তাগিদ অনুভব করছি।’
তিন ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের লম্বা সময়ের ফাইনালে দ্বিতীয় সেটে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হয়েছে জকোভিচকে। ২০ বছর বয়সী শীর্ষ বাছাই আলাকারাজ ও ৩৬ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকা জকোভিচের মধ্যে আরো একটি দুর্দান্ত ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য হলো সমর্থকদের। গত মাসে উইম্বলডনের ফাইনালে আলকারাজের কাছে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে পরাজিত হওয়া জকোভিচ যেন অনেকটা প্রতিশোধ নিলেন। এ বছর ছয়বার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা এই দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। হেড-টু-হেড লড়াইয়ে এখন উভয়ই একটি করে ম্যাচে জয়ী হয়েছে।

আলকারাজ বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেকে নিয়ে গৌরব বোধ করছি। আমি জানিনা কেন আমি কেঁদেছি। তবে আমি শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছি। সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে প্রায় পরাজিত করেই ফেলেছিলাম। কিন্তু তারপরও যা আমি করে দেখিয়েছি তাতে আমি সত্যিই দারুণ খুশি। নোভাক প্রতি পয়েন্টে পাঁচ, ছয়, সাতটি বল রিটার্ন করেছে। সে কারণেই এক কর্ণার থেকে অন্য কর্ণারে আমাকে ছুঁটতে হয়েছে। পয়েন্ট অর্জন করা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছিল।’
এলিট মাস্টার্স ১০০০ ইভেন্টে জকোভিচ রেকর্ড ৩৯তম জয় নিশ্চিত করলেন। প্রথম সেটে তিনি প্রথমে ব্রেক পয়েন্ট নিয়ে ৪-২ গেমের লিড নিয়েছিলেন। আলকারাজ ব্রেক নিয়ে ফিরে এসে ৬-৫ গেমের লিড নেন। প্রচন্ড গরমে জকোভিচকে প্রায়ই টি-শার্ট পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। দ্বিতীয় সেটে শেষ পর্যন্ত ট্রেইনার ও চিকিৎসক এসে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে যান। এ সময় আলকারাজ ৪-২ গেমে এগিয়ে যান। কিন্তু জকোভিচ আবারও লড়াইয়ে ফিরে এসে ৪-৪ গেমে সমতা ফেরান। এরপর সেটটি টাই ব্রেকে নিষ্পত্তি হয়। তৃতীয় সেটে জকোভিচ ৫-৬ গেমে পিছিয়ে থাকার সময় একটি ম্যাচ পয়েন্ট রক্ষা করেন। সপ্তম গেমে পাঁচটি ব্রেক পয়েন্ট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি আলকারাজ।

এই ম্যাচে পরাজয় সত্ত্বেও র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আলকারাজ। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেনে তিনি শীর্ষ বাছাই হিসেবে কোর্টেন নামবেন। অন্যদিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে অপরাগতা জানানোর কারণে দুই বছরের অনুপস্থিতির পর প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন খেলতে নামছেন জকোভিচ।