আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামাল ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি, আইসিসির বিরুদ্ধে করেছেন
“যে কথাটা আপনারা বারবার বলছেন বা লিখছেন আমি ভারত-বিরোধী বিবৃতি দিয়েছি, কোথায় দিয়েছি আমায় দেখান! আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভারতের অবদান সম্পর্কে যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। ভারত যে বাংলাদেশের তুলনায় ভাল টিম তা-ও আমি জানি। কিন্তু একই সঙ্গে আমি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালবাসি। সে দিন মেলবোর্নে যা ঘটেছে তাতে আমার মতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যথেষ্ট ক্ষেত্র তৈরি ছিল না। প্রথমত ওই যে স্কোরবোর্ডে বিজ্ঞাপনটা জিতেগা ভাই জিতেগা ইন্ডিয়া জিতেগা এটার মানে কী? এটা মাঠে যে ইচ্ছে দোলাক। আইসিসি পরিচালিত স্কোরবোর্ডে এটা থাকবে কেন? তার মানে কি আগেই ধরে নেওয়া হচ্ছে ভারত জিতছে। বাকি টিমটা স্রেফ হারার জন্য এসেছে? আমি ম্যাচ চলাকালীন প্রতিবাদ করে বলি যে এটা কী হচ্ছে? আমার দেশের মানুষ এটা টিভিতে দেখে কী ভাবছে যে ইন্ডিয়াকে কি আগেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে? সে দিন আমি বলি বিজ্ঞাপনটা নামাতে। আইসিসি-র কমার্শিয়াল ম্যানেজার নিজে আমার সামনে ফোন করল। তবু ওটা থেকে গেল। অথচ পরের দিন সিডনিতে যখন ভারত-অস্ট্রেলিয়া হল তখন ওটা উধাও। কেন ভাই, আগের দিন দিয়ে পরের দিন যদি তুলবি তা হলে আমাদের দিন রাখলি কেন? টিভি রিপ্লেটাও আমাদের দিন বেশি দেখানোই হয়নি। কেন হবে না আমায় বলুন তো? তা ছাড়া রায়নার আউটের অ্যাপিলের সময় বলল দিস ইজ ৫০-৫০। যে কোনও দিকে যেতে পারত, ভারতের দিকে গেল। এটা কী কথা? আমাকেও তো আমার দেশের মানুষের কাছে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় যে আপনি আছেন তা হলে বাংলাদেশের ওপর এইগুলো হচ্ছে কেন? কোথাও না কোথাও তো আমাকে বলতেই হবে। কিন্তু কোন কথাটা আমি অযৌক্তিক বলেছি আমায় বোঝান। আইসিসি যদি আমায় ডাকে আমি আমার বক্তব্য বলব। ওরা তো সেটা শোনার আগেই আমায় প্রাইজ দেওয়া থেকে সরিয়ে দিল। এই নিয়ে এখুনি বলছি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি, লইয়ারের মতামত নিই তার পর সবিস্তার বলব। আপনাদের কাগজে শুধু এটা লিখবেন যে আমার স্ট্যান্ড ভারত-বিরোধী নয়। আমি প্রশ্ন তুলেছি আইসিসি-র নীতি সম্পর্কে।”