পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে

SHARE

এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার।
পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আদমশুমারি সম্পন্ন করতে এবং নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করতে প্রায় চার মাস সময় লেগে যেতে পারে।
যার অর্থ, এ বছর নভেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সেটা অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বেশ জটিল রূপ নিতে যাচ্ছে। নতুন আদমশুমারির অর্থ পুরো দেশজুড়ে নতুন করে নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাংবিধানিকভাবে প্রয়োজনীয় সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যার অর্থ, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না।’
এদিকে আইনমন্ত্রীর এই ঘোষণা পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
আগামী ১২ আগস্ট শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে এবং নতুন সরকার গঠনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে; এমনটাই হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই লাহোর থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সাজা পাওয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে তাদের হাত নেই জানিয়ে শাহবাজ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাংবিধানিক প্রয়োজনেই সর্বশেষ আদমশুমারির অধীনে নির্বাচন হওয়া জরুরি।
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দ্য কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্ট একটি বৈঠকে আদমশুমারির মাধ্যমে নতুন করে নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আজম।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে নতুন আদমশুমারির অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।’
নতুন আদমশুমারিতে পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেড়ে ২৪ কোটি ১৫ লাখ ছুঁই ছুঁই বলে জানা গেছে।