উন্নত-সমৃদ্ধ মৎস্যখাত গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: শ ম রেজাউল করিম

SHARE

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন ঘাট থেকে শুরু হয়ে এফডিসি ঘাট পর্যন্ত চলে দৃষ্টিনন্দন এ শোভাযাত্রা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মন্ত্রণালয়টির সচিব ড. নাহিদ রশীদ ও নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মৎস্যখাতের বিভিন্ন অংশীজনরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নৌ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্যখাতকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তমখাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য। এজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ মৎস্যখাত গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এরই মধ্যে আমরা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ উৎপাদনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের বহুমুখী ব্যবহারের বাড়াতে হবে। মাছ রপ্তানি বৃদ্ধি করা গেলে মাছ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে ও বিদেশে রপ্তানির সময় মাছে বিষাক্ত কোনো উপাদান যাতে কেউ মেশাতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের মৎস্য সপ্তাহের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও স্মার্ট মৎস্যখাত বিনির্মাণ করতে চাই। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন, নৌপুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড এমনকি গণমাধ্যম সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে এক সময় মাছের আকাল ছিল। এখন সেই বাংলাদেশে মাছে-ভাতে বাঙালির কৃষ্টিপরিপূর্ণ করেও ৫২ দেশে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। মাছের গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় ৩৯ প্রজাতির মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রান্তিক সীমা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মাছের উৎপাদন, বিপণন, বহুমুখী ব্যবহার, মাছের রপ্তানি সব নিয়ে সরকার কাজ করছে। এসব কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসের একটি অংশ হিসেবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে নৌ শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য খাতে যারা উৎপাদনে, বিপণনে প্রক্রিয়াজাতকরণে, রপ্তানিতে সম্পৃক্ত তারা উৎসাহিত হবেন। শেখ হাসিনা সরকার তাদের পাশে আছে। মৎস্য খাত হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের এক বিস্ময়কর সাফল্য। শোভাযাত্রায় ১৫ টি সুসজ্জিত নৌকা অংশগ্রহণ করে।