তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুভঙ্করের ফাঁকি : এলজিআরডিমন্ত্রী

SHARE

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। এর ফাঁক দিয়ে অজগর সাপ ঢুকে সব খেয়ে ফেলতে পারে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। সারা পৃথিবীতে কেউ এতে সম্মতি দেয় না।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ও মানুষের স্বার্থে ইতিবাচকতার এ ধারা বজায় রাখতে হবে। দেশের সব ইতিবাচক অর্জন আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।

তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যে অগ্রগতি অর্জন করেছিলেন সেটি ছিল অকল্পনীয়। নিন্দুকরা এখন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে যেভাবে অস্বীকার করছে ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধুর অর্জনকেও তখন মুছে ফেলার চেষ্টা করেছি।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-২ (তিতাস ও হোমনা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, কুমিল্লা সিটি করিপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৩৯০ ডলার। যা এখন ২৮০০ ডলারের ওপর। অন্যদিকে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু ঋণ একসময় ১০ হাজার ছিল যা বর্তমানে ৯ হাজার টাকা। আয় ও ঋণের অনুপাতে অগ্রগতি করার পরও নিন্দুকেরা ঋণের অংককে দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. বলেন, বাংলাদেশ কখনো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়নি। এ ঋণ দেশের জনগণের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে যার সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে দেশ আজ দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অথচ বিএনপির শাসনামলে কৃষকরা সারের দাবিতে মিছিল করতে গেলে সেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়িয়ে মানুষের জীবনে অসহনীয় দুর্ভোগ নেমে এসেছিল। আওয়ামী লীগের আমলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে বিএনপি সরকার।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং বা বিভাজন থাকলে সেই সুবিধা পুঁজি করে বিরোধীরা দেশে অরাজকতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবে।