যখনই যে কাজ করেছি লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না?
তিনি বলেন, আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।
আজ সোমবার (১০ জুলাই) সকালে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ভাতা বা অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।
তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে আমি যখন সরকারে গঠন করি তখন মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল, সেটাও আবার সরকারি টেলিভিশন। সংবাদপত্র ছিল কয়েকটি। স্বাধীনতার সময় অনেক সংবাদপত্র হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছিল। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল এদেশের জনগণের যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেকেই প্লট পেয়েছেন, কেউ কেউ তা বিক্রিও করেছেন। সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে পরিশোধ করে এসব ফ্ল্যাট নিতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘এদেশে কোন মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। তাদেরকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি। আমরা চাই প্রত্যেকের একটা ঠিকানা হবে। সেই সাথে তাদের আমরা ঋণ দিচ্ছি, কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করেছে। অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করেন না। অবসরের পর তারা কীভাবে চলবে সেটাও চিন্তার বিষয়।
এসময় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা হতে হবে দেশের কল্যাণে, এতে দেশের ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।