এবার চীন যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী

SHARE

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারণেই এবার বেইজিং সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। চারদিনের সফরে ৬ জুলাই চীন পৌঁছাবেন ইয়েলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একদিন পর সোমবার সকালে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েলেন দুই দেশের সম্পর্ক এবং উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে চীন সফর করেন বাইডেন প্রশাসনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুনে বেইজিং সফরের সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, নেতৃস্থানীয় কূটনীতিক ওয়াং ই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর কয়েক সপ্তাহ পরই চীন ছুটছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
ব্লিঙ্কেনের সফরে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেনো সংঘর্ষে না পরিণত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শিকে ‘স্বৈরশাসক’ অ্যাখ্যা দিলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্যটি সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় খুব কমই প্রভাব ফেলেছিল।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বেইজিংয়ে ইয়েলেন জ্যেষ্ঠ চীনা কর্মকর্তা এবং নেতৃস্থানীয় মার্কিন সংস্থার সঙ্গে দেখা করবেন। এ ছাড়া ইয়েলেন চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফংয়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তি আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইনের ফলে বিদেশি এবং মার্কিন সংস্থাগুলো প্রভাবিত হতে পারে বলে আশংকা করছে ওয়াশিংটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন এই আইন কীভাবে প্রযোজ্য হতে পারে তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।’
কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তি থেকে শুরু করে জিনজিয়াংয়ের মুসলিম উইঘুরদের ওপর দমনপীড়ন, বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন সংক্রান্ত জটিলতার পাশপাশি স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও বেইজিং-এর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কথিত চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়ে যাওয়ার ঘটনায় অর্থনৈতিক দুই পরাশক্তির মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।