সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচে মেসির গোল

SHARE

বিশ্বকাপ জয়ের পর দারুণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। দুইদিন আগেই পালন করেছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নিজের প্রথম জন্মদিন। আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ৩৬ এ পা রেখেছন তিনি। এ সময়টা তিনি পরিবারের সাথে কাটিয়েছেন নিজের প্রিয় শহর রোজারিওতে। সেই সাথে যোগ দিয়েছেন নিজের সাবেক দুই সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচের আয়োজনে, খেলেছেন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে, পেয়েছেন গোলের দেখাও।
আর্জেন্টাইন ক্লাব নিয়েলস ওল্ড বয়েজের ম্যাক্সি রদ্রিগেজের বিদায় উপলক্ষে এক প্রদর্শনী ম্যাচে যোগ দিয়েছেন পরশু, সে ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সাবেক ও বর্তমানদের সাথে খেলে হ্যাটট্রিকও করেছেন তিনি। এরপর গতকালও তিনি অংশ নিয়েছিলেন আরেক সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচে। তিনি হুয়ান রোমান রিকেলমে।
ম্যারাডোনার পর এবং মেসির আগে, আর্জেন্টিনার হয়ে দশ নম্বর জার্সি পড়ে নিজেকে আলাদা ভাবে চিনিয়েছিলেন হাতেগোনা যে কয়েকজন তাদের মাঝে রিকেলমে সবার আগে। তবে জাতীয় দলের হয়ে বিশেষ অবদান রাখা হয়নি, অবসর নিয়েছেন ২০০৯ সালেই। তবে ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্সের কিংবদন্তী তিনি। তাই তো তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল বিদায়ী ম্যাচের যাতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং বিশ্বজয়ী ফুটবল জাদুকর।

২০০৬ বিশ্বকাপে একসাথে খেলেছিলেন মেসি এবং রিকেলমে। তবে নানা কারণে এরপরে আর মাঠের খেলায় এ জুটির পায়ের জাদু দেখার সৌভাগ্য হয়নি ভক্তদের। ২০১৯ সালে বোকা জুনিয়র্স কিংবদন্তীর বিদায়ে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বিশেষ ম্যাচ। তবে তাতে উপস্থিত থাকতে পারেননি লা পুলগা। তাই এতদিন পরে হলেও এলএমটেনের উপ্সথিতিতে আবারো নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।
সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচে বরাবরের মত কালও আর্জেন্টিনা একাদশের অধিনায়ক ছিলেন মেসি। তাঁর সাথে দলে আরও ছিলেন হ্যাভিয়ের ম্যাশ্চেরানো, এঞ্জেল ডি মারিয়া, সার্জিও রোমেরো, ম্যাক্সি রদ্রিগেজ। সাবেক তারকাদের সাথে এ ম্যাচেও গোলের দেখা পেয়েছেন এলএমটেন। প্রথমার্ধ্বে গোল কয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধ্বেও কিছু সময় খেলার পর মাঠ ছেড়েছেন মেসি। এসময় মাঠে উপস্থিত ভক্তরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে। এছাড়াও, জন্মদিন উপলক্ষে সহস্র কন্ঠে শুভেচ্ছাও জানানো হয় তাকে।

নিজের বিদায়ী ম্যাচে মেসির উপস্থিতিতে দারুণ পুলকিত ছিলেন রিকেলমে, ‘আমি ভাগ্যবান যে ম্যারাডোনার পর মেসির খেলা দেখতে পেরেছি। তাঁর সাথে খেলতে পারা সৌভাগ্যের এবং তাকে এখানে পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।’ ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য লিওনার্দো পারাদেস, ডি মারিয়া এবং মেসিকে রিকেলমে এবং বোকা জুনিয়র্সের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাও প্রদান করা হয়।