জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই : এটিইউ

SHARE

জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে গেছে এমনটি ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়ারও কিছু নেই উল্লেখ করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই।
আজ সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের মাল্টিপারপাস হলে ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা দেখছি জঙ্গিরা সোশাল মিডিয়ায় ভয়াবহভাবে সক্রিয়। এটিইউর সাইবার অনলাইন পেট্রোলিংয়ে তা উঠে এসেছে। অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কীভাবে একজন তরুণ না বুঝেই জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, জঙ্গিবাদে জড়ানোদের বিপদ, ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার সুযোগ গণমাধ্যমকর্মীদের আছে।’
এটিইউ প্রধান বলেন, ‘সাংবাদিক সম্পর্কে নানা সময় জটিল ধারণ করে পুলিশ। তবে বর্তমানে তথ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ৭ ধারায় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার স্বার্থে তথ্য দিয়ে থাকি। দেশপ্রেমের জায়গা থেকে আমরা যদি সবাই কাজ করি তাহলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু ঘটবে না। গণমাধ্যম যদি এসব মাথায় রাখে সংবাদ পরিবেশনের সময় তবে সমস্যা হওয়ার কথা না। সংবাদের অবাধ প্রবাহের সময় কোনও সংগঠনের সুযোগ নেই গণমাধ্যমকে সহায়তা ছাড়া ইমেজ রক্ষা করা।’
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে দুটি ঘটনা ঘটে– একটা আমরা দেই, আরেকটা আপনারা সরেজমিনে করেন। এরকম একটি কাজ ছিল হোলি আর্টিজানে হামলার সময়। গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের কারণে জঙ্গিরা ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান জেনে গিয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।’
এটিইউর ডিআইজি (অপারেশন্স) মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বেশি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। যেটা আড়ালে থাকার সেটা আড়ালেই রেখেছেন। আসলে রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। এখানে দরকার কোর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন সহায়ক ভূমিকা। আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। কারণ উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কঠিন।
কর্মশালায় আরও ছিলেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজিম, বিশেষ অতিথি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীসহ সাংবাদিকরা।