আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আনা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষে ৩১ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি কর দাবি করে এনবিআরের ঐ নোটিশ গুলোর বৈধতা নিয়ে রায়ের জন্য ৩১ মে দিন রেখেছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার রায়ের জন্য এদিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অ্যাটর্নি জেনারেলে এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূস বলেছেন, টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে তারটা পড়ে না। এ জন্য তাকে দানকর দিতে হবে। আদালত শুনেছেন। আগামী ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।
আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না বলে দাবী করা হয়। ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ইউনূসের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয় আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করে হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামী ৩১ মে দিন ধার্য করে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।