বার্সায় ফেরা নিয়ে যে শর্ত দিলেন মেসি

SHARE

চলতি মৌসুম শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরোচ্ছে লিওনেল মেসির। চুক্তি নবায়ন নিয়ে রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। গুঞ্জন রয়েছে, পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাতে ফিরতে পারেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। প্রিয় তারকাকে স্বাগত জানাতে নির্ঘুম প্রহর গুনছেন কাতালান ক্লাবটির সমর্থকরাও। যার ঝলক দেখা গেছে শেষবার ক্লাসিকোতে। ‘মেসি মেসি’ স্লোগানে মাতোয়ারা ছিল ন্যু ক্যাম্প।
এদিকে, স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিবোর খবর, বার্সেলোনায় ফিরতে ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার কাছ থেকে সরাসরি প্রস্তাব চান মেসি।
তিলে তিলে গড়া সম্পর্ক ছিন্ন করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন লিওনেল মেসি। কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা পাড়ি জমিয়েছেন প্যারিসের ক্লাব পিএসজিতে। তবে যে ক্লাবের হয়ে উত্থান, একের পর এক রেকর্ডে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া। যে শহরের বাতাসে মিশে যাওয়া, যে ন্যু ক্যাম্পকে নিজের ঘর বানিয়ে ফেলা তাকে ছেড়ে থাকা অতো সহজ হবে কিভাবে!
বার্সেলোনা ছাড়ার পর পুরনো ঢেরায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে কম গুঞ্জন শোনা যায়নি। মেসি নিজেও মনের কোনে লুকায়িত ইচ্ছার কথা চেপে রাখতে পারেননি। বার্সা প্রসঙ্গ আসলেই বলতেন, আবারও ফিরতে চান বার্সেলোনায়। হোক সেটি খেলোয়াড় কিংবা অন্য কোনো ভূমিকায়।
২০২১ সালের ১ জুলাই ফ্রি এজেন্টে পরিণত হন মেসি। তবে তার দল ছাড়ার ব্যাপারটি ছিল পুরো অবিশ্বাস্য। পরে ৫ আগস্ট জানা যায়, বার্সায় থাকছেন না মেসি। এর পাঁচ দিন পর তিনি চুক্তি করেন পিএসজির সঙ্গে। অথচ বার্সেলোনা সমর্থকরা ছিলেন নাছোড়বান্দা, তারা প্রিয় ফুটবলারকে অন্য কোনো ক্লাবের জার্সিতে দেখতে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু বাস্তবতার কাছে যে সব কিছুই তুচ্ছ! ক্লাবের সঙ্গে নিজের চুক্তি নবায়ন করার কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই নিজের ঘর ছাড়তে হয় মেসিকে।
এদিকে, পিএসজির সঙ্গে সময়টাও ভালো যাচ্ছে না মেসির। কাতার বিশ্বকাপের পরপরই ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা থাকলেও, এপ্রিলে এসেও দুপক্ষ সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অবশ্য আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে চুক্তি করতে উদগ্রীব প্যারিস জায়ান্টসরা। কিন্তু ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে-র নীতিতে বাঁধা পিএসজি।
গণমাধ্যমে দাবি, এই নীতি ভঙ্গ করায় গত সেপ্টেম্বরে ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছিল ক্লাবটিকে। ভবিষ্যতে আরও বড় শাস্তি এড়াতে তাদের ক্লাবের মজুরি খরচ কমাতে হবে। যার কারণে নতুন চুক্তিতে মেসির বেতন কমাতে চায় পিএসজি।
তবে আপোস করতে নারাজ মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপের সমপর্যায়ের বেতন চান। যে কারণেই এখনো থমকে আছে চুক্তি। এমন অবস্থায় গুঞ্জন, প্যারিস ছেড়ে যেতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাকে পেতে ইতোমধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি। তবে শোনা যাচ্ছে ইউরোপের বাইরের ক্লাবে যেতে চাচ্ছেন না মেসি। আর তাই আগ্রহে রয়েছে বার্সেলোনা।
মেসির দলবদল নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিবোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মেসি নিজে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছেন। অর্থাৎ জর্জ মেসিকে গত ফেব্রুয়ারিতে লাপোর্তা সে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা যেন সরাসরি তাকেই দেওয়া হয়।

অবশ্য বার্সেলোনা চাইলেই মেসিকে দলে ভেড়াতে পারবে না। উয়েফার আর্থিক নীতির ব্যাপার আছে। অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারও আছে। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, মেসিকে দলে ফেরাতে বার্সেলোনা পৃষ্ঠপোষক খোঁজা শুরু করেছে। া ফেরা নিয়ে যে শর্ত দিলেন মেসি
চলতি মৌসুম শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরোচ্ছে লিওনেল মেসির। চুক্তি নবায়ন নিয়ে রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। গুঞ্জন রয়েছে, পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাতে ফিরতে পারেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। প্রিয় তারকাকে স্বাগত জানাতে নির্ঘুম প্রহর গুনছেন কাতালান ক্লাবটির সমর্থকরাও। যার ঝলক দেখা গেছে শেষবার ক্লাসিকোতে। ‘মেসি মেসি’ স্লোগানে মাতোয়ারা ছিল ন্যু ক্যাম্প।
এদিকে, স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিবোর খবর, বার্সেলোনায় ফিরতে ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার কাছ থেকে সরাসরি প্রস্তাব চান মেসি।
তিলে তিলে গড়া সম্পর্ক ছিন্ন করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন লিওনেল মেসি। কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা পাড়ি জমিয়েছেন প্যারিসের ক্লাব পিএসজিতে। তবে যে ক্লাবের হয়ে উত্থান, একের পর এক রেকর্ডে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া। যে শহরের বাতাসে মিশে যাওয়া, যে ন্যু ক্যাম্পকে নিজের ঘর বানিয়ে ফেলা তাকে ছেড়ে থাকা অতো সহজ হবে কিভাবে!
বার্সেলোনা ছাড়ার পর পুরনো ঢেরায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে কম গুঞ্জন শোনা যায়নি। মেসি নিজেও মনের কোনে লুকায়িত ইচ্ছার কথা চেপে রাখতে পারেননি। বার্সা প্রসঙ্গ আসলেই বলতেন, আবারও ফিরতে চান বার্সেলোনায়। হোক সেটি খেলোয়াড় কিংবা অন্য কোনো ভূমিকায়।
২০২১ সালের ১ জুলাই ফ্রি এজেন্টে পরিণত হন মেসি। তবে তার দল ছাড়ার ব্যাপারটি ছিল পুরো অবিশ্বাস্য। পরে ৫ আগস্ট জানা যায়, বার্সায় থাকছেন না মেসি। এর পাঁচ দিন পর তিনি চুক্তি করেন পিএসজির সঙ্গে। অথচ বার্সেলোনা সমর্থকরা ছিলেন নাছোড়বান্দা, তারা প্রিয় ফুটবলারকে অন্য কোনো ক্লাবের জার্সিতে দেখতে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু বাস্তবতার কাছে যে সব কিছুই তুচ্ছ! ক্লাবের সঙ্গে নিজের চুক্তি নবায়ন করার কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই নিজের ঘর ছাড়তে হয় মেসিকে।
এদিকে, পিএসজির সঙ্গে সময়টাও ভালো যাচ্ছে না মেসির। কাতার বিশ্বকাপের পরপরই ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা থাকলেও, এপ্রিলে এসেও দুপক্ষ সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অবশ্য আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে চুক্তি করতে উদগ্রীব প্যারিস জায়ান্টসরা। কিন্তু ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে-র নীতিতে বাঁধা পিএসজি।
গণমাধ্যমে দাবি, এই নীতি ভঙ্গ করায় গত সেপ্টেম্বরে ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছিল ক্লাবটিকে। ভবিষ্যতে আরও বড় শাস্তি এড়াতে তাদের ক্লাবের মজুরি খরচ কমাতে হবে। যার কারণে নতুন চুক্তিতে মেসির বেতন কমাতে চায় পিএসজি।
তবে আপোস করতে নারাজ মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপের সমপর্যায়ের বেতন চান। যে কারণেই এখনো থমকে আছে চুক্তি। এমন অবস্থায় গুঞ্জন, প্যারিস ছেড়ে যেতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাকে পেতে ইতোমধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি। তবে শোনা যাচ্ছে ইউরোপের বাইরের ক্লাবে যেতে চাচ্ছেন না মেসি। আর তাই আগ্রহে রয়েছে বার্সেলোনা।
মেসির দলবদল নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিবোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মেসি নিজে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছেন। অর্থাৎ জর্জ মেসিকে গত ফেব্রুয়ারিতে লাপোর্তা সে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা যেন সরাসরি তাকেই দেওয়া হয়।

অবশ্য বার্সেলোনা চাইলেই মেসিকে দলে ভেড়াতে পারবে না। উয়েফার আর্থিক নীতির ব্যাপার আছে। অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারও আছে। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, মেসিকে দলে ফেরাতে বার্সেলোনা পৃষ্ঠপোষক খোঁজা শুরু করেছে।