অনলাইন ডেটিং বিষয়টির সঙ্গে হয়তো অনেকেই পরিচিত। এমন অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে ডেটিং করে থাকেন। সেখান থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমের দিকে। সে হয়তো আপনার শহরে থাকে না। তখন মনের মানুষটিকে দু’চোখ ভরে দেখার উপায় স্কাইপির ভিডিও চ্যাট। মনের কথা বলতে ভরসা মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ। অনলাইনে প্রেম করার যে বেশি কিছু সুবিধে রয়েছে সে কথা অস্বীকার করা যায়না। আসুন দেখে নিন এরকম পাঁচটি সুবিধা-
১. রোমান্টিক কথা বলার সুযোগ: অনলাইন রিলেশনশিপে আবেগের সঙ্গে এমন কিছু কথা বলতে পারেন প্রেমিক প্রেমিকারা, যা হয়ত তারা সামনাসামনি বসে থাকলে লজ্জায় বলতে পারতেন না। প্রেমিক-প্রেমিকারা অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট করার সময় একজন আরেকজনকে দেখতে পান না। এতে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হয় না। তাই অনেক সহজে মনের কথা বেরিয়ে আসে। কারণ, এখনও অনেক ছেলেই তাদের প্রেমিকার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে লজ্জা পায়। তাই নিজেদের মনের ভাবগুলো আবেগপূর্ণ বাক্যে প্রকাশ করেন। ফলে তাদের মধ্যে কথাবার্তা বেশ জমে ওঠে। তাদের ভালোবাসা আরও বেশি গভীর হয়।
৩. খরচ কম: এটা নিঃসন্দেহে স্বীকার করতেই হবে যে ডেটিং করতে কোথাও বাইরে যাওয়া মানেই গাদাগুচ্ছের টাকা খরচ। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড হাতের নাগালে থাকলেও পিছলে যেতে থাকে মানিব্যাগটি। তাই আপনার মানিব্যাগ আপনার কাছেই থাকুক। তার বদলে বরং অনলাইনে ভিডিও চ্যাট খানিক সস্তা পড়ে।
৪. তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার তাড়া নেই: ডেটিংয়ের তারিখ নির্ধারণ করলে সেই সময়ের জন্য আপনাকে হয়ত অধীর আগ্রহে বসে থাকতে হয়। কিন্তু অনলাইনে ডেটিংয়ে কোনো নির্ধারিত সময়ের পরোয়া করতে হয় না। যখন ইচ্ছা তখনই আড্ডা মারতে বসে যেতে পারেন। আবার বেশি রাত হলে বাবা-মাযের বকা শোনার একটা ভয় থাকতে পারে। কিন্তু অনলাইন ডেটিংয়ে আপনি চাইলে সারারাত ডেটিং চালিয়ে যেতে পারেন।
৫. গরমে সুখালাপ: মার্চ শুরু হতে না হতেই রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করেছে গরম। এই গরমে বাইরে বের হওয়াতে অ্যালার্জি রয়েছে অনেকেরই। আর এখানেই অনলাইন প্রেমের ‘মার দিয়া কেল্লা’। আপনি চাইলেই বাড়িতে ফ্যান-এসির নিচে বসে অনলাইন দিব্যি প্রেমালাপ চালিয়ে যেতে পারেন। এতে আপনি গরমের হাত থেকেও বাঁচবেন, পাশাপাশি রিলেশনশিপও চলবে মধুর গতিতে।