মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির সময় মুহিদ্দিন ইয়াসিন সরকারি চুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
এমনকি তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের সঙ্গেও জড়িত।
এদিকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে মুহিদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপন করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।
অর্থ পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছরের জেল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের। একই সঙ্গে তার জরিমানাও হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন চালু করা একটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রকল্প নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও শুক্রবার তার জামিন মঞ্জুর হয়।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, দুই মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার মাধ্যমে আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার দল ২০২১ সালের নভেম্বরে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে হেরে যাওয়ার পর দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি হোন। মেয়াদ শেষের পরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হোন। বিচারে তার ১২ বছরের জেল হয়।