ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে : পরিবেশমন্ত্রী

SHARE

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার প্রণীত টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা একশন প্ল্যান অনুসরণ করে ২০২৬ সনের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও এ আয়োজিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়াও, ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য পুন:ব্যবহার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা এবং উক্ত সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে তিনবছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশবান্ধব এবং জৈব-পচনশীল বস্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিবেশ সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী মোঃ সেলিম রেজা এবং বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসেন প্রমুখ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। সরকারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল ৩জ পলিসির লক্ষ্য হলো উন্মুক্ত জমি, নদী, নালা, খাল এবং সমভূমিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা এবং উৎসে বর্জ্যের বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা এবং এর পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলির জন্য একটি বাজার তৈরি করা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে কঠিন বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যার টেকসই সমাধান অর্জন করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলী ও এ সংক্রান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের মডেল ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন ওয়েস্ট কনসার্ন এর নির্বাহী পরিচালক আবু হাসানাত মো: মাকসুদ সিনহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিগণ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।