অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফেরত দেওয়া শুরু করবে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা জানান।
শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলম্বো সফর শেষে এদিন ঢাকায় ফিরেন ড. মোমেন।
বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে ২০২১ সালে একটি মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে নগদ অর্থহীন শ্রীলঙ্কায় ঋণ সহায়তা করে বাংলাদেশ। তবে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে পড়ায় ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ছয় মাস সময় দিয়েছে।
সদ্য শ্রীলঙ্কা সফর করে আসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শ্রীলঙ্কা ধীরে ধীরে ভালো করছে। তারা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
শ্রীলঙ্কাকে ঋণ পরিশোধে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্দিনে সহায়তা করায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ড. মোমেন জানান, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলাপ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ, সে কারণে মিয়ানমারে সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। এজন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেশটির সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানির সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাইড লাইনে বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক বাড়াতে চায় পাকিস্তান। তাদের আচরণ পজিটিভ মনে হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হিনা রাব্বানি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান। তবে আমি বলেছি, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং দিয়ে রেখেছে, বাণিজ্য কীভাবে বাড়বে।’